আনন্দ রোজারিও
নৌকা বিলাস
(সুলেখাকে, অনেক সময় কেটেছে দুর্বাঘাসে-বনবাসে)
১.
যখন এসেছে মেঘ, তোকে বলি ,
বালিকার প্রকৃত গণিত ফুটে আছে গাছে
শিশির জমেছে পায়ে শ্যাওলায় ভরে আছে পথ
এই ক্ষণে এসেছি পালিয়ে
পুরনো স্বভাব মেনে মা তোমার-
নিরাপদ ছায়া থেকে ঝরে পড়ে নিভৃত খোলস
আমি এক গোপন সর্প দ্যাখো শ্রীমতি বিহনে কাদিঁ
আয়ুজলে বুনে রাখি সমূহ বিনাশ
২.
এসেছি পাতার কাছে হাত মেলে রাখি অন্ধকার
পায়ে পায়ে গ্রাম ভেঙে পড়ে
চোখে জমে জল
হাড়ের বেদনা জাগে দরোজার বিভুতি ছায়ায়
দূরে যেতে যেতে, তোকে বলি, নদী ও জলের কাছে
শুয়ে আছে ফুল চোর, অপরাহ্ণে নিহত বকুল
৩.
সুপারির গল্প শুনে রোজ রাতে শুতে চলে যাই
কতিপয় বালক আছে, তোকে বলি,
পথে যেতে যেতে তারা সব গোপাটের ছায়া পরিসর
তৃষ্ণা জমেছে দ্যাখো থেমে থেমে কষ্টে প্রবীণ
নাও বেয়ে যেজন গিয়েছে চলে
তার নামে গাই নাই বিলাসের গান
.....................................
বুনো পরি
তমসাকে বলি, করপুটে যে তোমার অন্ধকার জোনাকি
ভয়ার্ত গাড়ির মতো একবার জ্বলছে আর নিবছে
গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে নিচে গলিত লাভা
আঙুলের পাশ দিয়ে খোলা বারান্দায় লাফিয়ে লাফিয়ে ছুটছে তিনটি বালক,
হাতে কাশফুলের লম্বা তীর, উঠোন থেকে হা হা স্বর মাখা পথে
পাথর গড়িয়ে গড়িয়ে অজগরের মতো তিরতিরে
আর্ত নদীর কাছে যেতে যেতে
তমসাকে বলি, চোখ লুকিয়ে বলছি- তমসা, এ রকম-
রৌদ্র উপড়ানো অন্ধকার ছিল বলে বাকেঁ বাকেঁ
তরল অন্ধকার তার ঘেরা টোপে বালকের চোখের বিস্ময়
নদীর অন্ধত্ব আমি, তমসাকে বলি, আমি সেই নিহত প্রদীপ
-
No comments:
Post a Comment